Items Name
Items
Khirsha / Himshagar
খিরসাপাত আমের সাথে আরেকটি উন্নত জাতের আম হিমসাগর কে অনেক সময় একই বলা হলেও দুইটি আম ভিন্ন। হিমসাগর পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত আম যা ভারতের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলাতেও এই আমের চাষ হয়। পাকার পর খিরসাপাতি আমের ওপরের অংশ হলুদ রং ধারণ করে। এ ক্ষেত্রে হিমসাগর আম পাকার পরেও সবুজাভ হালকা হলুদ রঙের হবে। খিরসাপাত আম আকারে একটু বড় আর বোটার দিকে চওড়া বেশি। খিরসাপাত এর আরেকটি ছোট জাত রয়েছে ক্ষুদিখিরসা নামের। ক্ষুদিখিরসার রং একটু কালচে সবুজ। উভয় জাতের মূল্য ও মান একই পর্যায়ের প্রায়।
Bari 4
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI), গাজীপুর, বাংলাদেশ কর্তৃক উদ্ভাবিত। ফ্লোরিডা M-3896 জাত (পুরুষ) এবং স্থানীয় আশিনা জাতের (মহিলা) মধ্যে ক্রসিং। উচ্চ ফলন, নিয়মিত জন্মদান, মিষ্টি এবং দেরীতে জাত, ফেব্রুয়ারিতে ফুলের সূচনা, মাংস গভীর হলুদ, আঁশবিহীন এবং মাংসল, ফলের আকার বড় (600 গ্রাম), প্রায় গোলাকার ফল, মাংস হলুদ, খুব মিষ্টি, কাঁচা ফলও মিষ্টি, ব্রিকস 24.5%, মাংস 80% ফল। শক্ত মাংসের কারণে পাকার পর তা কয়েক দিনের ঘরে সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই জাতটি সারা বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষের উপযোগী।
Amrapali
আম্রপালি আম আমের একটি জাত। ১৯৭১ সালে এই হাইব্রিড জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ড. পিযুষ কান্তি মজুমদার 'দশেরী' এবং 'নিলম' জাতের দুটি আমের সংকরায়নের মাধ্যমে নতুন এ জাতটি উদ্ভাবন করেন। যার নাম দেয়া হয় আম্রপালি। তারপর থেকে এই আমটি সারা ভারতের খামার এবং বাগানগুলিতে রোপন করা হয়েছে। ভারতীয় আমের এ জাতটি বাংলাদেশে আসে ১৯৮৪ সালে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ এনামুল হক এবং চুয়াডাঙ্গার আজাদ হাইব্রিড নার্সারির কর্ণধার আবুল কালাম আজাদের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে এই জাতটি আমদানি করা হয়।
Banana Mango
'নাম ডক মাই' আম (থাই: น้ำดอกไม้, বানান Nam Doc Mai) একটি আমের জাত যা থাইল্যান্ডে উদ্ভূত। এটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় আমের জাত, এবং ছোট জাত হলেও অস্ট্রেলিয়া এবং কলম্বিয়াতেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। ন্যাম ডক মাই গাছটি মাঝারি আকারের, সম্ভাব্য উচ্চতায় ছয় মিটারেরও বেশি। এটি একটি প্রারম্ভিক-মধ্যমৌসুমের জাত, যেখানে এক বছরে একাধিক ফসলের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলটি লম্বাটে, একটি বিশিষ্ট চঞ্চু সহ, এবং সাধারণত সবুজ দাগ সহ হলুদ হয়। এটি একটি পলিএমব্রায়োনিক-বীজযুক্ত জাত। ফলের মাংস খুব কম ফাইবার, শক্তিশালী এবং মনোরম সুবাস এবং খুব মিষ্টি স্বাদের জন্য পরিচিত।
Green Lemon
লেবু (সাইট্রাস লিমন ) মূলত রুটেসি পরিবারের ছোট চিরসবুজ সপুষ্পক উদ্ভিদের একটি প্রজাতি। এটি দক্ষিণ এশিয়া সাধারণত, উত্তর পূর্ব ভারতের একটি স্থানীয় গাছ। এই গাছের উপবৃত্তাকার হলুদ ফলটি সারা বিশ্বে রান্নার কাজ এবং রান্নার কাজ ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়; মূলত এটির রসের জন্য। এটির রস রান্না ও পরিষ্কারের উভয় কাজেই ব্যবহার করা হয়। [১] লেবুর শাঁস এবং খোসাও রান্না এবং বেকিংয়ে ব্যবহৃত হয়। লেবুর রসে প্রায় ২.২ পিএইচ এর প্রায় ৫% থেকে ৬% সাইট্রিক অ্যাসিড, যার কারণে এটি টক স্বাদযুক্ত হয়। লেবুর রস টক স্বাদযুক্ত হওয়ায় এটিকে পানীয় এবং খাবার, যেমন লেবুর শরবত এবং 'লেবু মেরিংয়ে পাইয়ের' মূল উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়।চট্টগ্রাম অঞ্চলে লেবুকে "হঁজি" বলে। নোয়াখালীতে লেবুকে "কাগজী" বলে।
Katimon
থাইল্যান্ডের আমের জাত 'ক্যাটিমন' সারা বছরই রাজশাহীতে আম দিচ্ছে । বিদেশি জাতের গাছে আম ও ফুল বা মুকুল থাকে যা একই সঙ্গে বছরে তিন থেকে চারবার ফলন দেয় প্রচলিত জাতের বিপরীতে। এই আমটি মৌসুমি আম নয় তবে এটি টেস্টি ও মিষ্টি এবং অন্যান্য জাতের তুলনায় বাজারে চাহিদাও বেশি। ক্যাটিমন জাতের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রয়েছে যা এখনও স্থানীয় বাজারে পাওয়া যায়। বর্তমানে প্রতি মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ২০০ টাকা। এক কেজি আমে চার থেকে পাঁচটি আম থাকে।
Papaya
পেঁপে( বৈজ্ঞানিক নাম :Carica papaya),এরা Caricaceae পরিবারের সদস্য। একটি ফল যা মানুষ কাঁচা তথা সবুজ অবস্থায় সব্জি হিসেবে এবং পাকা অবস্থায় ফল হিসাবে খেয়ে থাকে। এর অনেক ভেষজ গুণও রয়েছে। এর ইউনানী নাম পাপিতা, আরানড খরবূযা। এবং আয়ুর্বেদিক নাম অমৃততুম্বী।প্রায় সারা বছরেই ফুল ও ফল হয়। কাঁচা ফল সবুজ, পাকা ফল হলুদ বা পীত বর্ণের।রক্ত কাশে, রক্তার্শে, মূত্রনালীর ক্ষতে, দাদ ও সোরিয়াসিস-এ, কোষ্ঠকাঠিণ্যে এবং কৃমিতে হিতকর। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপেতে প্রচুর পেপেন এনজাইম আছে যা মানুষের পাকস্থলীতে আমিষ হজমে সাহায্য করে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এটি "হঁইয়া" নামে পরিচিত।
পেয়ারা (বৈজ্ঞানিক নাম:Psidium guajava), এরা Myrteae পরিবারের সদস্য। একরকমের সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল। তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। অনুমান করা হয় ১৭শ শতাব্দীতে পেয়ারা আসে। এটি একটি পুষ্টিকর ফল। এটি ভিটামিন সি, ক্যারোটিনয়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম প্রভৃতিতে সমৃদ্ধ। একশ’ গ্রাম পেয়ারায় দুইশ’ মি.গ্রা. ভিটামনি সি আছে অর্থাৎ পেয়ারায় কমলার চেয়ে ৪গুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক।
Fish
মাছ একটি শীতল রক্তবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী প্রাণী যার শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য ফুলকা রয়েছে,চলাচলের জন্য যুগ্ম অথবা অযুগ্ম পাখনা রয়েছে, সাধারণত এরা জলকেই বসবাসের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। সাধারণত এদের দেহের বহির্ভাগ আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত; তবে আঁশ নেই এমন মাছের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এরা সমুদ্রের লোনা জল এবং স্বাদু জলের খাল, বিল, হাওর, বাওর, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবায় বাস করে। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছ মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মাছ মানবদেহে অন্যতম আমিষ যোগানদাতা। অনেক স্থানেই মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিনোদন হিসাবে ছিপ/বড়শি দিয়ে মাছ ধরা আবার মাছকে অ্যাকুয়ারিয়ামে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।